ডেস্ক রিপোর্ট, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০৫
ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য বিপদজনক এক সরকারী চরিত্র বলে মনে করেন নিউ ইয়র্ক প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম। তিনি আজ মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে এমন মন্তব্য করেছেন। মাস্টারমাইন্ড খ্যাত উপদেষ্টা মাহফুজকে ইউনূস সরকারে খুবই প্রভাবশালী হিসেবে মনে করা হয়।
আজ সকালে ফেসবুকে একটি পাবলিক পোস্ট দেন উপদেষ্টা মাহফুজ। তিনি সে পোস্টে ভারতের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যসহ বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি ম্যাপ সংযুক্ত করে লেখেন- আমাদের নতুন ভূগোল ও বন্দোবস্ত লাগবে। পরে ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই পাবলিক পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন মাহফুজ। কেন এ পোস্ট সরিয়ে নিয়েছেন তার কোনো ব্যাখ্যা লেখেননি তিনি। এই পোস্টের জবাবেই নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট লিখেছেন বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক শাহেদ আলম।
বেঙ্গল নিউজের পাঠকের জন্য শাহেদ আলমের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো- 'মাহফুজ আলম বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য বিপদজনক এক সরকারী চরিত্র। তার অতি দ্রুত পদত্যাগ করা উচিৎ : অথবা তাকে বরখাস্ত করাই সমাধান । উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বৃহৎ বাংলার ম্যাপ দিয়ে হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পুনরুদ্ধারের সংকল্প দুই ঘন্টা রাখতে পারলেন না—স্ট্যাটাসটা ডিলিট করে দিলেন। আমি ভাবছি, এই ধরনের ডিলিউশনাল একজন ব্যক্তি পলিসি মেকিং-এ কি কি ক্ষতি করছেন যা আমরা দেখতে পারছি না এবং যেগুলো এই জাতি ডিলিট করতে পারবে না।
রাষ্ট্র
পরিচালনা টিএসসিতে আড্ডা একই নয়। একজন উপদেষ্টা যদি ভারতের ন্যারেটিভ প্রমাণ করতে
মিমাংসিত সীমান্তের পরিবর্তে নওয়াবি বাংলার ম্যাপ দিয়ে লিখেন, নতুন ভূগোল লাগবে বা
একটা খণ্ডিত ভূমি রাষ্ট্র হয় না তার ফলে ইন্ডিয়ার সেই ন্যারেটিভ প্রমাণিত হবে যে,
সেভেন সিস্টার্সের নিরাপত্তা আর বাংলাদেশ থেকে চরমপন্থী অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্যেই শেখ
হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
এই পরিমাণ
দায়িত্বশীলতা না থাকা ব্যক্তিরা এই রাষ্ট্রকে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত পাল্টানোর নামে এমন
এক পরিণতিতে নিয়ে যাবে যে পরিণতি আমরা ফেসবুক স্ট্যাটাসের মতো ডিলিট করতে পারবো না।
যার পরিণতি দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্য ও বৈষম্য।
আরেকটি কথা।
রাজনীতি এবং রাষ্ট্রপরিচালনায় ভাষা প্রয়োগ বা শাব্দিক প্রয়োগ ম্যাটারস। যারৈ কথায়
কথায় শহীদ বা শাহাদাৎ এর কথা বলে তাদের সাথে গনতান্ত্রিক আলাপ হয় না। এদেরকে ইসলামী
পরিভাষায় বলে জে হা দী! এই ব্যাক্তি বা গোষ্টীর সাথে সংলাপে সমাধান হয় না। কেননা তারা
গনতান্ত্রিক আলাপে বিশ্বাসী নয়।
আমরা আমাদের
রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা চাই, গনতন্ত্র চাই এবং মানুষের ভাগ্যন্নোয়ন চাই। যুদ্ধ চাই
না। গাজাওয়াতুল হিন্দ ও চাই না। এই বিপদজনক চরিত্র কে রাষ্ট্রের উপদেষ্টা পদে রাখার
মাধ্যমে ড. ইউনুস নিজে তার বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতাকে বিপদে ফেলবেন, বাংলাদেশকেও।
ধারাবাহিক
লিখবো। সবার আগে দেশ।'
/এসবি