জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঘোষিত ‘জুলাই সমাবেশে’ ক্লাস চলাকালে জোরপূর্বক টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুরে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় বিভিন্ন স্লোগান দেয় বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার টাঙ্গাইলে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা ও সমাবেশ হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এনসিপির নামে নেতারা বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস রুমে প্রবেশ করে। তারা শিক্ষকদের অনুমতি ছাড়াই জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের এনসিপির সমাবেশে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে এনসিপির নেতাদের সাথে শিক্ষকদের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বাধ্য হয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ছুটি দেওয়া হয়। আমাদের ভোট দেওয়ার অধিকার হয়নি। আমাদের কেন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হবে? আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এনসিপির মিটিং উপলক্ষে ক্লাস চলাকালে নেতারা এসেছিল। তখন তারা আমাদের বলেছিল যারা স্বেচ্ছায় যেতে চায় আমরা যেন যেতে দেই। আমরা তা এলাও (অনুমোদন) করিনি। স্কুল চলা অবস্থায় আমরা কাউকে যেতে দেব না বলে জানিয়েছিলাম।’

অভিযোগের বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেল বলেন, ‘আমাদের এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না। তবে আমি এ নিয়ে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছে এনসিপির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা তাদের বলেছি ভবিষ্যতে এনসিপির কোনো প্রোগামে তাদের আনা হবে না। একই সাথে প্রতিষ্ঠানের স্যারদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।’

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের শামছুল হক তোরণ থেকে জুলাই পদযাত্রা বের হয়। পদযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের নিরালা মোড়ে পথ সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় শহরের প্রধান সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করে এনসিপি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষের।

/এসবি