কনটেন্ট ক্রিয়েটর

বেঙ্গল নিউজ টোয়েন্টিফোর


১৮ মে ২০২২ ০১:৩৯



‘পশ্চিম থেকে প্রাচ্যে যাতায়াতকারী বিমান কক্সবাজারেই রিফুয়েলিং করবে’

কনটেন্ট ক্রিয়েটর, বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোর

১৮ মে ২০২২ ০১:৩৯

‘পশ্চিম থেকে প্রাচ্যে যাতায়াতকারী বিমান কক্সবাজারেই রিফুয়েলিং করবে’

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উত্তীর্ণ করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই বিমানবন্দর যখন হবে, তখন আপনারা জানেন যে আজকে যারা পশ্চিম থেকে প্রাচ্যের দেশগুলোতে যায়, তারা কিন্তু এই কক্সবাজার থেকে রিফুয়েলিং করবে।

আজ বুধবার (১৮ মে) কক্সবাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত বহুতল ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

কক্সবাজার নিয়ে বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজার এত চমৎকার একটা জায়গা, এটা পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা একান্তভাবে অপরিহার্য। কক্সবাজারবাসীর কাছে আমার একটা অনুরোধ থাকবে, যত্রতত্র কোনও স্থাপনা করবেন না। কক্সবাজারে আমরা অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছি। একটা মাস্টার প্ল্যান করার নির্দেশ দিয়েছি পুরো কক্সবাজার ঘিরে। আমরা চাই, এর উন্নয়নটা যাতে পরিকল্পিতভাবে হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই যে বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, এটাতে পর্যটনের ক্ষেত্রটা আরও প্রসারিত করা, আবার দেশীয় পর্যটকদের জন্য যেমন সুযোগ সৃষ্টি করা, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণীয় করা, সেই উদ্যোগটাই আমরা নিতে চাচ্ছি। তাছাড়া এটা আন্তর্জাতিক এয়ার রুটে পড়ে। আমরা কক্সবাজার যে বিমানবন্দর, সেই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, ‘রিফুয়েলিংয়ে কিন্তু একেক সময় একেকটা দেশ অগ্রাধিকার পায়। এক সময় হংকং ছিল। এরপরে আমরা দেখেছি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। এখন দুবাই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক আকাশ পথে রিফুয়েলিংয়ের একটা জায়গা। তার ফলে এখানে অনেক কাজ হবে।

বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার ‘এত দূরদর্শী নেতৃত্ব ছিল, আপনারা দেখেন, ১৯৭৪ সালে তিনি সমুদ্রসীমা আইন করেন। এমন কী জাতিসংঘও কিন্তু তখন করেনি। জাতিসংঘ করেছে ৮২ সালে। কিন্তু ১৯৭৪ সালে এই বিশাল সমুদ্রে আমাদের যে অধিকার রয়েছে, সে অধিকার নিশ্চিত করবার জন্য জাতির পিতা এই আইনটি করে দিয়ে যান। আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫ সালে নির্মমভাবে তাকে হত্যার পর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা এই সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার নিয়ে কখনোই কোনও উদ্যোগ নেয়নি।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমি প্রথম এই উদ্যোগটা গ্রহণ করি। কিন্তু এটা নিতে গেলে অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে কাজ করতে হয়। আমরা অনেক দূর কাজ করে যাই। কিন্তু এর পরে ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, তখনও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২০০৮ এর নির্বাচনে সরকারে এসে আমরা আবার উদ্যোগ নিই। সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার, সে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন এই সমুদ্রসম্পদকে ব্যবহার করে আমাদের অর্থনীতিতে যাতে অবদান রাখা যায়, সে ব্যবস্থাটা আমরা করতে চাই। তাই আমরা সুনীল অর্থনীতি গ্রহণ করেছি। এর ভিত্তিতে উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত করতে চাই।’ 

এএল/